ইউএই-এর অর্থ ও পর্যটনমন্ত্রী এবং আমিরাত পর্যটন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ বিন তৌক আল মারি এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই অভিন্ন ভিসাটি মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়নের শেনজেন ভিসা ব্যবস্থার আদলে তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে পর্যটকেরা এক ভিসায় জিসিসিভুক্ত ৬টি দেশ—সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমানে সহজেই ভ্রমণ করতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক সমন্বয় জোরদার ও পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের কৌশলগত অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তার ভাষায়, ‘এই ভিসা শুধু ভ্রমণ সহজ করবে না, বরং উপসাগরীয় অঞ্চলকে একক পর্যটন গন্তব্য হিসেবে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।’
আমিরাতের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াম–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৌক আল মারি বলেন, পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষে দ্বিতীয় ধাপে এটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে ঠিক কোন তারিখ থেকে ভিসাটি কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত ঘোষণা আসেনি।
এর আগে গত ১৬ জুন খালিজ টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে এবং খুব শিগগিরই এটি চালু হবে।
তবে কত দিনের জন্য এই ভিসা দেওয়া হবে বা এর খরচ কত হবে, তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
বিশ্লেষক ও পর্যটনশিল্প সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, জিসিসি গ্র্যান্ড ট্যুরিস্ট ভিসা চালু হলে উপসাগরীয় অঞ্চলের পর্যটন ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে। এতে বিদেশি পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং জিসিসি দেশগুলোর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বৃদ্ধিতেও সহায়তা করবে।
.png)
0 মন্তব্যসমূহ