Header Ads Widget

Responsive Advertisement

ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলন, ট্রাম্পের শুল্ক হুঁশিয়ারি



বিশ্ব সংবাদ, দক্ষিণ আমেরিকা ডিজিটাল ডেস্ক : ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনেইরোতে চলছে ব্রিকস জোটের শীর্ষ সম্মেলন। উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর এই জোটের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ব্রিকস জোটের সঙ্গে যুক্ত অথবা তাদের ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি’কে সমর্থন করা দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।

রবিবার (৬ জুলাই) নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “যেসব দেশ ব্রিকসের যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী অবস্থানের সঙ্গে জড়াবে, তাদের ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হবে। এই নীতির কোনো ব্যতিক্রম থাকবে না। ধন্যবাদ!” তবে তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী নীতি’ বলতে কী বোঝাচ্ছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

এদিকে সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, “ব্রিকস এখন একবিংশ শতাব্দীর নতুন বৈশ্বিক বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। বহুপাক্ষিক শাসনব্যবস্থা আজ চ্যালেঞ্জের মুখে।”

তিনি ব্রিকসকে স্নায়ুযুদ্ধের সময় গড়ে ওঠা নিরপেক্ষ জোট (ন্যাম)-এর সঙ্গে তুলনা করেন, যা তৎকালীন দুই পরাশক্তির কারও পক্ষ নেয়নি।

রোববার দুপুরে সম্মেলনের এক যৌথ বিবৃতিতে ব্রিকস নেতারা ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির কড়া সমালোচনা করেন। তারা বলেন, “শুল্ক বাড়ানোর প্রবণতা বৈশ্বিক বাণিজ্যের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।”

এবারের সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা এবং আরও কয়েকজন বিশ্বনেতা। তবে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কারণে অনলাইনে যোগ দিচ্ছেন।

২০০৯ সালে যাত্রা শুরু করা ব্রিকস-এর শুরুতে ছিল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং পরে যুক্ত হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। বর্তমানে নতুন সদস্য হিসেবে যোগ দিয়েছে মিসর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবারের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া।

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক এবং বৈশ্বিক উৎপাদনের ৪০ শতাংশই এখন ব্রিকস দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব করছে। নেতারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

তাদের বক্তব্য, “যদি বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থা আধুনিক বাস্তবতা প্রতিফলিত না করে, তবে ব্রিকসের উচিত নতুনভাবে এই কাঠামো গড়ে তোলা।”


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ