বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে আইনি জটিলতার কারণে এই অভিবাসীদের জিবুতির একটি সামরিক ঘাঁটিতে আটক রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন জানান, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী শুক্রবার মধ্যরাতের কিছুক্ষণ আগে অভিবাসীদের বহনকারী ফ্লাইটটি দক্ষিণ সুদানে পৌঁছে।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট অভিবাসীদের বিতাড়নের একটি ছবি প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, বিমানের ভেতরে শেকলবদ্ধ অবস্থায় তাদের বসে থাকতে এবং মার্কিন সেনাদের পাহারায় থাকতে।
সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সশস্ত্র সংঘাতে জর্জরিত দক্ষিণ সুদানে এ ধরনের বিতাড়ন ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসন নীতির নতুন নজির হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিতাড়িত অভিবাসীদের কেউই দক্ষিণ সুদানের নাগরিক নন। তারা কিউবা, মেক্সিকো, লাওস, মিয়ানমার, সুদান ও ভিয়েতনাম থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। এসব ব্যক্তি হত্যা, নরহত্যা, যৌন নির্যাতন, শিশু নির্যাতন এবং সশস্ত্র ডাকাতির মতো অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।
বিতাড়নের বৈধতা নিয়ে চলমান আইনি লড়াই শুক্রবার থেমে যায়। এদিন অভিবাসী সুরক্ষা কর্মীদের দাখিল করা বিতাড়ন স্থগিতের আবেদন দুটি খারিজ করে দেন দুই ফেডারেল বিচারক।
বিচারকদ্বয় জানান, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় তাদের সিদ্ধান্তকে সীমিত করে দিয়েছে, ফলে তারা আইনিভাবে এই বিতাড়ন ঠেকাতে সক্ষম নন।
0 মন্তব্যসমূহ