২০২৪ সালে ব্রাজিল সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, দেশটি এক বছরে প্রায় ১,৯৪,৩৩১ জন অভিবাসীকে স্বাগত জানিয়েছে। এই অভিবাসীদের মধ্যে সর্বাধিকসংখ্যক এসেছে দক্ষিণ আমেরিকার যুদ্ধ ও সংকটকবলিত দেশ ভেনেজুয়েলা থেকে। প্রায় এক লাখ ভেনেজুয়েলান এখন ব্রাজিলের অভ্যন্তরে আশ্রয়প্রাপ্ত।
হাইতি, আঙ্গোলা, সেনেগাল এবং নাইজেরিয়া থেকেও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক অভিবাসী ব্রাজিলের শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। বিশেষ করে নির্মাণ, পরিষেবা এবং কৃষিখাতে এদের চাহিদা বাড়ছে।
📌 বাংলাদেশিরা কোথায়?
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলে বর্তমানে আনুমানিক ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ বাংলাদেশি অভিবাসী বসবাস করছেন, যাদের অধিকাংশই অবস্থান করছেন সাও পাওলো, রিও ডি জেনেইরো এবং কুয়িয়াবা শহরগুলোতে। তারা সাধারণত গার্মেন্টস, মুদি দোকান, পোলট্রি খামার ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে যুক্ত।
📜 অভিবাসন আইন ও নিয়মাবলি
ব্রাজিল সরকার অভিবাসীদের জন্য বেশ কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে:
-
মেরকোসুর ও পর্তুগিজভাষী দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য সহজ ভিসা ও বসবাস অনুমতি।
-
বিদেশি শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের অনুমতি: ২০২৪ সাল থেকে, ব্রাজিলে পড়াশোনা শেষ করা বিদেশি শিক্ষার্থীরা কাজের ভিত্তিতে স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন করতে পারছেন।
-
ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য কড়াকড়ি: নতুন নিয়মে ভিসাবিহীন যাত্রীরা কেবলমাত্র আন্তর্জাতিক ট্রানজিট জোনে থাকতে পারবেন।
🔍 অভিবাসন কেন বাড়ছে?
বিশ্লেষকদের মতে, ব্রাজিলের উদার অভিবাসন নীতি, তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং শ্রমিকের চাহিদা অভিবাসীদের আকৃষ্ট করছে।
বিশ্বব্যাপী অভিবাসন নীতিমালা কঠোর হওয়ার পরও, ব্রাজিল এখনও অনেকের জন্য ‘নতুন সুযোগের দেশ’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
📝 বিশেষ মন্তব্য:
ব্রাজিলে অভিবাসী হিসেবে টিকে থাকতে হলে বৈধ কাগজপত্র, ভিসা ও আবাসনের অনুমতি থাকা জরুরি। স্থানীয় ভাষা (পর্তুগিজ) শেখা এবং আইন মেনে চলা অভিবাসীদের জন্য ভবিষ্যৎকে আরও নিরাপদ করতে পারে।
0 মন্তব্যসমূহ