🔹 ইতিহাসের পাতায় বাটা
১৮৯৪ সালে টমাস বাটা (Tomáš Baťa) তার ভাই ও বোনকে নিয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের জ্লিন শহরে ছোট একটি জুতা কারখানা স্থাপন করেন। সেই শুরু। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বুট সরবরাহ করে ব্যাপক ব্যবসায়িক সাফল্য লাভ করে প্রতিষ্ঠানটি। ১৯২০-এর দশকে বাটা became a global name, এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগেই কোম্পানির শাখা ছড়িয়ে পড়ে ইউরোপ, এশিয়া ও আমেরিকায়।
🔹 আজকের বাটা
বর্তমানে বাটা একটি স্বিস-ভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি, যার কার্যক্রম বিশ্বের প্রায় ৭০টিরও বেশি দেশে বিস্তৃত। প্রতিষ্ঠানটির অধীনে প্রায় ৫,৩০০ এরও বেশি স্টোর এবং ২১টির মতো নিজস্ব উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে।
বাংলাদেশে বাটা একটি অতি পরিচিত নাম। ১৯৬২ সাল থেকে এখানে বাটার কার্যক্রম শুরু হয় এবং আজ এটি দেশের অন্যতম বৃহৎ জুতা প্রস্তুতকারী কোম্পানি। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় রয়েছে বাটার রিটেইল আউটলেট, পাশাপাশি গাজীপুরে রয়েছে বৃহৎ উৎপাদন কেন্দ্র।
🔹 বিশেষ বৈশিষ্ট্য
-
✔️ মানসম্মত চামড়া ও সোল ব্যবহারে বিশ্বস্ততা
-
✔️ প্রতিযোগিতামূলক মূল্য
-
✔️ শিশু, নারী, পুরুষ – সবার জন্য সমান গুরুত্ব
-
✔️ CSR ও পরিবেশবান্ধব নীতিমালার প্রতি প্রতিশ্রুতি
🔹 বাটা কি ইহুদি মালিকানাধীন?
অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে বাটা একটি ইহুদি মালিকানাধীন কোম্পানি। তবে বাস্তবে এর প্রতিষ্ঠাতা টমাস বাটা ছিলেন একজন খ্রিষ্টান চেক ব্যবসায়ী। বাটা পরিবারের মধ্যে সামাজিক সচেতনতা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানমূলক চিন্তাধারা ছিল প্রবল, যা প্রতিষ্ঠানটিকে একটি মানবিক ও বিশ্বজনীন ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলে।
বাটা শুধু একটি ব্র্যান্ড নয়, এটি একটি বিশ্বাসের নাম। ১২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বজুড়ে মানুষের পায়ে আরাম ও আস্থা এনে দিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটি।
0 মন্তব্যসমূহ