বিশ্ব সংবাদ, দক্ষিণ আমেরিকা ডিজিটাল ডেস্ক :
গাজা, ১৮ অক্টোবর:
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এক ফিলিস্তিনি পরিবারের ১১ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। আট দিন আগে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির এটি সবচেয়ে ভয়াবহ লঙ্ঘন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
গাজার নাগরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা শহরের জেইতুন এলাকায় আবু শাবান পরিবারকে বহনকারী একটি বেসামরিক গাড়িতে ট্যাংক থেকে শেল নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে সাত শিশু ও তিনজন নারী রয়েছেন।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, “পরিবারটি তাদের বাড়ি পরিদর্শনে যাচ্ছিল, তখন ইসরায়েলি সেনারা গুলি চালায়। তাদের সতর্ক করা যেত বা ভিন্নভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব ছিল। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে দখলদাররা এখনো রক্তপিপাসু এবং নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ করছে।”
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ঘটনাটিকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, “পরিবারটিকে কোনো যুক্তি ছাড়াই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।” তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের আহ্বান জানিয়েছে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ভেনেজুয়েলার নেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। তিনি গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গোষ্ঠী হামাসকে “নিপীড়ক বাহিনী” বলে উল্লেখ করেন।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, মাচাদো গাজায় জিম্মি মুক্তি ঘটনায় নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানান এবং ইরানের নীতিরও তীব্র সমালোচনা করেন।

0 মন্তব্যসমূহ