Header Ads Widget

Responsive Advertisement

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের পাশে আর্জেন্টিনা, নেতানিয়াহুকে ফোন করলেন প্রেসিডেন্ট মাইলি

১১ জুন, ২০২৫ তারিখে জেরুজালেমে ইসরায়েলি সংসদের (নেসেট) সদর দপ্তরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাষণের দিকে তাকিয়ে আছেন আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রপতি জাভিয়ের মাইলি। | মেনাহেম কাহানা / এএফপি


বিশ্ব সংবাদ, দক্ষিণ আমেরিকা ডিজিটাল ডেস্ক : 
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা চরমে ওঠার প্রেক্ষাপটে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মাইলি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। এই ফোনালাপে আর্জেন্টিনার পক্ষ থেকে ইসরায়েলের প্রতি পূর্ণ সমর্থন এবং সংহতি জানানো হয়েছে।

সরকারি সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে দুই নেতার মধ্যে এ টেলিফোন আলাপ হয়। এতে প্রেসিডেন্ট মাইলি নেতানিয়াহুকে চলমান পরিস্থিতিতে আর্জেন্টিনার সমর্থনের আশ্বাস দেন এবং ইসরায়েলের জনগণের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এর আগে, গত সপ্তাহেই মাইলি তেলআবিব ও জেরুজালেম সফর করেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলি রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হার্জোগের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সফরকালে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষাসহ সন্ত্রাসবাদ ও ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একত্রে কাজ করার লক্ষ্যে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার ইরানের ওপর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। দেশটি জানায়, তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতেই এই হামলা। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা চালায়। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত এবং ১,০০০ জনের বেশি আহত হয়। অপরদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছে অন্তত ২৪ জন।

মঙ্গলবার, সংঘাতের পঞ্চম দিনে ইসরায়েল জানায়, ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা আলী শাদমানি মধ্য তেহরানের একটি কমান্ড সেন্টারে বিমান হামলায় নিহত হন। পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় ইসরায়েল জানিয়ে দেয়, ‘রাইজিং লায়ন’ নামের সামরিক অভিযান চলবে যতদিন না ইরানের হুমকি সম্পূর্ণভাবে দূর করা যায়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রেসিডেন্ট মাইলি ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত। পররাষ্ট্রনীতিতেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ নীতিমালার অনুসারী। গত সপ্তাহের সফরে তিনি হামাসের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা জানান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার পর হামাসের হাতে আটক থাকা ইসরায়েলি-আর্জেন্টাইন নাগরিকদের মুক্তির আহ্বান জানান।

মাইলি নেসেটেও (ইসরায়েলি পার্লামেন্ট) এক বক্তৃতায় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এবং ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ